সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:টানা ৬ ঘন্টা পরে আজকের দিনের মত বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় তারা অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেয়।তবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১১টার মধ্যে ভিসি এসএম ইমামুল হক এর পদত্যাগ অথবা ছুটির বিষয়ে লিখিত না পেলে সকাল ১১টা হতে পুনরায় বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষনা দিয়েছেন তারা।
এর আগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি বিরোধী আন্দোলনের ১৫ তম দিন মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।পরে সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীরা ভিসি’র পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে লিখিত পাওয়ার দাবীতে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করেন ক্যাম্পাসের সড়কে অবস্থান নেয়।এর পর মহাসড়কে তাবু টানিয়ে এবং ইট গুড়ি এবং আগুন জ্বালিয়ে ভিবি’র পদত্যাগ দাবীতে শ্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টা থেকে টানা ৬ ঘন্টা অবরোধের ফলে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা, পটুয়াখালী, বরগুনা, বাউফল, নলছিটির সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এমনকি ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রী এবং মালবাহী পরিবহনগুলো নগরীতে প্রবেশ করতে পারেনি। ভোলা ও পটুয়াখালী প্রান্তে আটকে থাকতে থেকে দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়। পরে বিকাল ৫টায় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার কারনে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে একটু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যে কারনে বিকাল ৫টায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়। পাশাপাশি ভিসি’র পদত্যাগ ও ছুটির বিষয়ে লিখিত দেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এসময়ের মধ্যে লিখিত না পূর্বে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজনের প্রতিবাদে আন্দোলন করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এজন্য ভিসি এসএম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেয়। এর প্রতিবাদে ২৬ মার্চ থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন।
এর মধ্যে গত ৬ এপ্রিল বরিশাল সার্কিট হাউজে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম ও বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া সহ সকল কার্যক্রম চালু করা হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরেনি। বরং ভিসি’র ছুটিতে যাবার বিষয়টির লিখিতভাবে চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
Leave a Reply